দুর্গাপুরে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ বিপাকে হাজারো কৃষক

নির্ভীক সংবাদ24 প্রকাশিত হয়েছেঃ ৬ জানুয়ারী, ২০২১
দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পূর্ব চকপাড়ার কলনঠিয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের প্রধান কালভার্ট মাটি দিয়ে ভরাট করে, পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন এক প্রভাবশালী চক্র। ফলে মালান্চী নদী, ফলয়ার বী-লের সাথে সরাসরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় কলনঠিয়া বী-লের। ফলে জলবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েন দুই বিলের হাজারো কৃষক। তিন ফসলী উর্বর ফসলী খেত গুলো জলাবন্ধ এক ফসলী জমিতে পরিনিত হয়। বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েন এলাকার সাধারণ কৃষক দিনমজুর মানুষেরা। কর্মহীন হয়ে পড়েন বিশাল জনগোষ্ঠী, পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে ঋণগ্রস্থ হয়েছেন অনেকেই। এই ক্ষতি সামলাতে মনে দুঃখ কষ্ট নিয়ে ১ ফসল নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ কৃষক। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ” কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ কিন্তু,সেই কৃষক সমাজ আজ মহা বিপদে , প্রভাবশালী পুকুর চাষিরা কৃষকদের কৌশলে শোষণ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন । সর্বশান্ত করছেন সাধারণ কৃষকদের।ওই এলাকার পুকুর খননকারী চক্রের মুল হোতা সাবেক মেম্বার “আহাদ আলী” তাঁর বেপরোয়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে তিনি দশ-বারোটি সরকারি অফিসার কে পকেটে রাখেন,সরকারি কালভার্ট বন্ধ করেছেন তাতে কি? তার কিছুই হবেনা তার একটি ফোনে যথেষ্ট সবকিছু ঠিক করতে। তিনি তার রাজনৈতিক পরিচয় ও পেশিশক্তির বলে গতবছর কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে রিয়াজ নামক ব্যাক্তির পুকুর খনন করে দেন। ফলে দুই বিলের সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি সর্বস্বান্ত হয়ে এলাকার কৃষক সমাজ। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না সাধারন মানুষ।নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনেকেই বললেন তার কৃতকর্মের কথা। পুকুরের পাশের বাসিন্দা বলেন, এবারের জলাবদ্ধতার কারণে এক হাঁটু পানি হয়েছিল এলাকার সব ফসলি জমি ডুবে গেছিলো,আমার মাটির বাড়ি অনেকটাই ভেঙে গেছে সবকিছু হয়েছে কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকার জন্য। একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এবার আমরা ফসল ফলাতে পারে নি পানিতে ডুবে ছিল সব।আগে তিন ফসল হত এইসব জমিতে কি বলবো তাদের পেশিশক্তির জোর দেখিয়ে কালভার্ট বন্ধ করে দিল জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকলে দুইটি বীল। আরকে কৃষক বলেন,এই বিলে গম ভুট্টা সহ অন্যান্য ফসল খুবই সুন্দর হতো কখনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না কিন্তু ওই বছর যখন পুকুর খনন শুরু করে সাধারণ মানুষ কৃষক বাধা দেই কিন্তু তাদের সাথে পেরে উঠে না। এখন শুধু ধান,আলু, ছাড়া কিছুই হয় না।
তাদের উদ্দেশ্য আমরা লসের শিকার হয়ে পুকুর খনন করতে জমি দেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার ” আহাদ আলী ” বলেন, আমার নামে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি গাড়ি দেই মানুষ পুকুর খনন করে। তার বাপের জমি বলে তিনি কালভার্টের মুখ আঁটকিয়েছেন । এতে আমার করার কিছুই নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাসিন মৃধা জানান,কালভার্ট বন্ধ কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষকদের সমস্যার সমাধান করা হবে,যতই প্রভাবশালী হোক না কেন আইন সকলের জন্য সমান।