নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তিনজন সাংবাদিক সহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, সমর্থকরা ভোটারদের প্রবাহিত করার জন্য পথরোধ করে এর পর পুলিশি প্রহরায় ভোটারা কেন্দ্রে আসলে মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জলের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে কাচুপাড়া কেন্দ্রে এলাকায় এলে মেয়র প্রার্থী জার্জিস সোহেলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গোটা এলাকা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এ সময় কমপক্ষে সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হন।
আজ দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ নং ওয়ার্ডের কাচুপাড়া ভোটকেন্দ্রে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৮ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে কাচুপাড়া ভোটকেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুরে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ নং ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ধানের শীর্ষের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোঠা নিয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জলের সমর্থকরা হাতুড়ি ও রড,রাম দা, নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নারীসহ ৩ জন সাংবাদিককে ও আহত করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন, দৈনিক সানশাইন পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার রবিউল ইসলাম রবি, দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার দুর্গাপুর প্রতিনিধি শাহীন আলম ও সেঘটনার ভিডিও ধারন করতে গেলে নির্ভীক সংবাদের স্টাফ রির্পোটার মশিউর রহমান’কে আহতাবস্থায় আটকের চেষ্টা চালায় এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরে সাংবাদিকদের তোপের মুখে ছেড়ে দেয় সে সাংবাদিক মশিউর রহমানকে। আহতদের মধ্যে অন্যরা হলেন, দুর্গাপুর চুনিয়া পাড়া এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী সুনিল, দুর্গাপুর বাজার এলাকার নূর হোসেনের ছেলে আবজাল।
পরে বিজিবি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি ও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্ভীক সংবাদ ডটকম