নিজস্ব প্রতিবেদক: হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। পূজা আসলেই যেন মন্ডপে মন্ডপে শুরু হয় নতুন কিছু করার। বিভিন্ন ডিজাইনের মন্ডপ তৈরি করে বিভিন্ন সংঘ রাজশাহীর অন্যতম সংঘ টাইগার,কসমস,মিলন মন্দির,অন্যপূর্না,উৎসব ইত্যাদি।এদেরকে টেক্কাদিয়ে তৈরি করে বিভিন্ন মন্ডপ। প্রতি বছরের তুলনায় এবার পূজার সময় পিছায়ে গেছে। প্রতি বছর আশ্বিন মাসে পূজা শুরু হলেও এবার মল মাস এর কারনে এক মাস পিছিয়ে পূজা হবে কার্তিক মাসে।দুটি অমাবস্যা একমাসে পড়ছে। আর তার জন্যই পুজো একমাস পিছিয়ে আশ্বিনের জায়গায় কার্তিকে হবে।
রাজশাহী জেলা আ.মীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, করোনার কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দূর্গাপূজা করার কথা জানিয়েছে সরকারি প্রশাসন। বৈশ্বিক করোনার অশুভ ক্রান্তিকালে অন্যান্য সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মতো এবারের দূর্গা পুজাতেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে কিছুটা সীমিত পরিসরে পুজা উদযাপনের নির্দেশনা এসেছে সরকার ও ধর্মীয় সংগঠন এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে। যেহেতু আমি দূর্গাপুর উপজেলায় বসবাস করি সেক্ষেত্রে দূর্গাপুর এর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সহ রাজশাহী জেলা ব্যাপী সর্বত্র সরকারি ও ধর্মীয় সংগঠনের নিয়ম মেনেই এবারের পুজা উদযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আমাদের ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। করোনাতে এবার পূজার কিছু প্রভাব পরেছে রাজশাহীতে। কমেছে পূজোর সংখ্যা। রাজশাহী জেলা ও নগর মিলে ৪৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলায় ৪০০ ও নগরে ৬৬টি মণ্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের নেতা শ্যামল কুমার ঘোষ।
তিনি জানান, রাজশাহী জেলায় প্রায় ৪০০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এমন মণ্ডপের তথ্য তাদের কাছে এসেছে। এছাড়া নগরে ৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এবছর নগরে দুর্গাপূজা মণ্ডপের সংখ্যা কম।
নির্ভীক সংবাদ24ডটকম